অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট বদল করে এক হাত থেকে অন্য হাতে ক্ষমতা সোপর্দ করা আপনার কাজ নয়। এই সিন্ডিকেট ভাঙার দায়িত্ব নিয়ে আপনি সরকারে এসেছেন। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, দ্রুততম সময়ে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারব্যবস্থায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনুন।’
গতকাল বিকেলে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন’ শীর্ষক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আয়োজন তরুণদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা ছড়ানোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
হাসনাত বলেন, ‘৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা কোনো উল্লেখযোগ্য বিচার দেখতে পাইনি। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড কিংবা ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেসব কারচুপি হয়েছে, সেগুলোর এখনো কোনো বিচার হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে আপনাদের এই বিচারগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বিভাজনের। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম বিভাজন নয়, ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ উৎখাতের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের সাহসিকতার সম্মিলন ঘটানো এখন জরুরি, নয়তো ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকারকে রক্তের মূল্যায়ন করতে হবে, খুনি হাসিনার বিচারের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে এবং প্রক্লামেশন অব জুলাই রেভল্যুশনে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তা না হলে তরুণ প্রজন্ম চুপ থাকবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক ফারহান হাসান এবং নারী নেত্রী নাবিলা তালুকদার।